আলোকযাত্রা চরচেঙ্গা দল মহান মে দিবসে মেঘনাপাড়ের জেলেজীবন সম্পর্কে জানলো
- ১৩:৫৩
- আলোকযাত্রা, উপকূল আজ, উপকূল সংবাদ, ঘটনাপ্রবাহ, জীবনধারা, নোয়াখালী জেলা, পূর্ব-উপকূল, শিক্ষাদীক্ষা, শীর্ষ সংবাদ, সর্বশেষ
- ৩১০
চরচেঙ্গা, হাতিয়া, নোয়াখালী : পহেলা মে মহান মে দিবসে ব্যতিক্রমী কর্মসূচি পালন করে আলোকযাত্রা চরচেঙ্গা দল। দলের সদস্যরা এদিন মেঘনাপাড়ের শ্রমিকদের জীবনযাত্রা দেখতে যায়। সেখানে তারা মে দিবসের ঐতিহাসিক তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করে। একইসঙ্গে তারা মেঘনাতীরের ভাঙণ এবং সেখানে বসবাসরত জেলেসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের জীবনযাত্রার খোঁজ নেয়।
এই কার্যক্রমে আলোকযাত্রা দলের সদস্যদের সঙ্গে থেকে গাইডলাইন দেন দলের উপদেষ্টা ও এমসিএস উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. কামারুল ইসলাম। দলের নেতৃত্ব দেয় আলোকযাত্রা চরচেঙ্গা দলের দলনেতা-১ তামজিদ উদ্দীন।
আলোকযাত্রা দলের সদস্যরা এমসিএস উচ্চ বিদ্যালয়ের অদূরে মেঘনাতীরে গিয়ে সেখানকার বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের কাছে মে দিবসের ইতিহাস তাৎপর্য ও গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করে। মো. কামারুল ইসলাম আলোচনার সূত্রপাত করলে আলোকযাত্রা দলের সদস্যরা আলোচনায় অংশ নেয়।
মেঘনাতীরে গিয়ে আলোকযাত্রা দলের সদস্যরা দেখতে পায়, নদী ভাঙ্গণে মানুষের বাড়িঘর, ফসলি জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙ্গনের ফলে মানুষের জমিজমা, ভিটেবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। গৃহপালিত পশুপাখি নিয়ে বেড়িবাঁধের পাশে কোনরকম আশ্রয় নিচ্ছে মানুষগুলো। আলোকযাত্রা দলের সদস্যরা মেঘনাতীরের মানুষদের জীবনযাপন বিষয়ে খোঁজখবর নেয়।
আলোকযাত্রা দলের সদস্যরা মেঘনাতীরের মানুষের আয়ের উৎসের সন্ধান করতে গিয়ে জানতে পারে, এই মানুষগুলোর আয়ের একমাত্র উৎস ছোট ডিঙি। এতে করেই তারা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। মেঘনাতীর পরিদর্শনকালে ছিল প্রবল বাতাস। জেলেরা আলোকযাত্রা দলের সদস্যদের জানান, বহুমূখী প্রাকৃতিক বিপদের মধ্যদিয়ে জেলেরা এভাবে মাছ ধরতে যায়। কারণ তাদের জীবিকার বিকল্প আরও কোন পথ নেই।
আলোকযাত্রা দলের সদস্যরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, মেঘনাতীরের জেলে পরিবারগুলোতে অর্থ সংকট তীব্র। অর্থাভাবে ভাল জাল কিংবা মাছ ধরার উপকরণ কিনতে পারে না তারা। আলাপচারিতায় জেলে আলাউদ্দিন বলছিলেন, তাদের নিজস্ব ২ কানি বাড়িসহ জায়গা জমি ছিল। সব মেঘনার গর্ভে গেছে। কেউ কেউ ছেঁড়া জাল বুনে জীবন চালায়। কিছু অসাধু ব্যক্তি চড়া সুদে জেলেদের অর্থ দেয়।
জেলেরা জানান, রাস্তাঘাট ও খাদ্যাভাবে এই এলাকার বহু ছেলেমেয়ে বিদ্যালয়ে যায় না। অনেকে পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। বর্ষাকালে নদী ভাঙ্গণের তীব্রতা বাড়ে বলে মানুষের সংকটও বাড়ে।
//প্রতিবেদন/০৪০৫২০১৭//
